বিদ্যালয়ের নিয়মাবলী -------------------------------------
১) প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে অবশ্যই বিদ্যালয়ের পৌছাতে সকাল সাড়ে দশটার মধ্যে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে হবে এবং প্রার্থনা সভায় যোগ দিতে হবে। 10:50 এর চূড়ান্ত ঘন্টা বাজার পর কোন ছাত্রছাত্রীকে সেদিন বিদ্যালয় প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। বিশেষ ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষকের অনুমতি প্রয়োজন।
২) অসুস্থতার জন্য বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকলে পরবর্তী উপস্থিতির দিনই অভিভাবকের স্বাক্ষরিত দিনলিপি শ্রেণি শিক্ষককে দেখানো বাধ্যতামূলক।
৩) বিদ্যালয়ে নিয়ম শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে ছাত্র-ছাত্রী কঠোর শাস্তি পাবে। পরিষ্কার পোশাকে ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে বিদ্যালয় আসতে হবে।
৪) বিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধি করনে, মর্যাদা রক্ষায় বিদ্যালয় ভবনের পরিচ্ছন্নতার সকল ছাত্র-ছাত্রী কে সর্বদা সচেষ্ট ও যত্নবান থাকতে হবে। যে কোন অসুবিধা বা সমস্যায় শ্রেণী প্রতিনিধির মাধ্যমে শ্রেণী শিক্ষক কে জানাবে।
৫) সকল ছাত্র ছাত্রীর বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা বাধ্যতামূলক।
৬) আভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের প্রয়োজনে ভূগোল, জীবন বিজ্ঞান বিষয়ক খাতা ও শারীর শিক্ষা, কর্ম শিক্ষার বই নিয়মিত জমা দেয়া বাধ্যতামূলক।
৭) শারীশিক্ষা ক্লাসে শরীর শিক্ষার নির্দিষ্ট পোশাকে অবশ্যই যোগদান করতে হবে।
৮) শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা ছাত্রছাত্রীদের অত্যাবশ্যকীয় কর্তব্য। যেখানে-সেখানে ছেড়া কাগজ ও আবর্জনা ফেলে আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে।বিদ্যালয়ের যে কোন সম্পত্তির ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং দেয়ালে লেখা ও আঁকাজোকা করা অপরাধে গুরুতর শাস্তি পেতে হবে।
৯) নতুন ভর্তি ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যাংকের একাউন্ট না থাকলে ব্যাংক একাউন্ট করাতে হবে।
১০) বিদ্যালয়ের দিনলিপি প্রত্যেকদিন অবশ্যই আনতে হবে এবং যত্নসহকারে তা ব্যবহার করতে হবে।
১১) অভিভাবককে নিজে নিজে ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষামূলক অগ্রগতির বিষয়ে অবহিত হওয়ার জন্য বিদ্যালয়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে। প্রতি ছাত্র-ছাত্রীর বিদ্যালয়ের শিক্ষা বর্ষের কার্যকালের দিনে কমপক্ষে 75% উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। সাধারণ অবস্থায় উপস্থিতির হার বজায় না থাকলে সেই ছাত্র-ছাত্রীকে পরীক্ষায় কোন কারণে বসার অনুমতি দেয়া হবে না। অতিরিক্ত অনুপস্থিতির জন্য একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীকে আর্থিক জরিমানা করা হবে।
১২) শিক্ষক/ শিক্ষিকা গনের কোন প্রকার নির্দেশ জানবার প্রয়োজন হলে দিনলিপির মাধ্যমে যোগাযোগ করতে হবে। অভিভাবকগণ তাদের বক্তব্য প্রতিক্ষেত্রে লিখিতভাবে জানাতে পারবেন। ব্যক্তিগত ও মৌখিক নিবেদন চলবে না।।
১৩) কোন ছাত্র-ছাত্রী কোন পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করলে তাকে পুনরায় বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করার অনুমতি দেয়া হবে না তাকে বাধ্যতামূলক ট্রান্সফার সার্টিফিকেট দেয়া হবে।
১৪) লাইব্রেরির বই যথাসময়ে জমা না দিলে প্রতিদিনের জন্য 50 পয়সা হারিয়ে জরিমানা দিতে হবে। বই ছিঁড়লে বা কোন দাগ লাগলে বা হারালে উপযুক্ত জরিমানা বই কিনে দিতে হবে।
১৫) দিনলিপি হারালে ২০/- টাকা জমা দিয়ে নতুন দিনলিপি সংগ্রহ করতে হবে।
১৬) নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীরা সময়মতো প্রোজেক্টের খাতা জমা না দিলে তাদের ফাইনাল পরীক্ষায় বসতে দেয়া হবে না।
১৭) নবম ও একাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীরা রেজিস্ট্রেশন ও চেকলিস্ট এ সময়মতো স্বাক্ষর না করলে পরবর্তী 1 বৎসর নষ্ট হবে।
১৮) ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে মোবাইল ব্যবহার কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
১৯) বিদ্যালয়ের প্রবেশের পথে সাইকেল রাখা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
২০) ছাত্র-ছাত্রীর বড় কোনো রোগ থাকলে শ্রেণী শিক্ষক অথবা প্রধান শিক্ষককে জানাতে হবে।
২১) প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর সাঁতার জানা বাঞ্ছনীয় কারণ বিদ্যালয় চত্বরে বড় পুকুর আছে।
No comments:
Post a Comment